বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৫, ২০১১

Cover Letter


FIVE Surefire Ways To Effectively Ask For The Job Interview In Your Next Cover Letter

Use any one of these examples in your next cover letter to attract quality job
interviews like a magnet. For maximum effect, use my suggested Best Location
for each example.


1. I am excited about the possibility of a personal interview to further discuss
my qualifications with you. I am immediately available and can be
reached at 555-555-5555. I will follow up with a phone
call as well to make sure you have received my
application. Best Location: Use this example as the
final paragraph in your cover letter for best results.



2. I would love the opportunity to interview in person for
the position of (insert job opening title here). Thank you in advance for
your consideration. Best Location: Use this example as a headline at the
top of your letter using centered and bold text.
3. If possible, can we schedule an interview in the next two weeks? I have
researched (company name) and am excited about this opportunity. I
would love the chance to interview for this position and am available at
your earliest convenience. Best Location: This example is best utilized as
a final paragraph in your cover letter, as well.
4. If I may be so bold, I am asking you for the opportunity to interview for
(insert job opening title here). I would like the chance in person, to discuss
the specific reasons why I believe I am the applicant you are looking for.
Best Location: If you are bold enough this works best as an excellent
final paragraph.
5. If you will grant me an interview for (insert job opening title here), I feel
confident that when we meet and speak together you’ll see why I believe
I’m the right person for this job. I can be reached at 555-555-5555. Thank
you in advance. Best Location: This example is best when used as the
final paragraph in your cover letter.

Cover letter Sample

Dear Hiring Manager ,

Good Day
I’m interested in the position of  "job name here " you  recently posted. I have been a working as (your position ) for (no of year) years, and am very familiar with Wordpress and joomla. During my "no of year" years as "position" in "your company ", I managed a couple of websites . You can see some of my own writing in my portfolio

http://example.com
http://example.com
http://example.com
http://example.com

“You had mentioned that you were looking for someone with a background in "background of job". I studied it in college, where I majored in Computer Science .

“Moving forward, I can dedicate "no of availabe hour" hours/week to your company, and my daily hours are negotiable. I’m very excited to assist you in making your Sites successful – please feel free to contact me directly to discuss this position further.”

my skype id :  "Your skype Id"

Regards,
"Your Name"

How to start on odesk


How to start on odesk

To Starting your freelancing job is somewhat challenging. There are a number of things that you should consider in clinching  your desired freelance job.  I personally love freelancing jobs as I don’t have to go to an office sitting for hours and getting some badly  commands from my Boss. I am free and I do what I love to do. I do my jobs sitting on my relaxing armchair whenever I love. However, truth be told that, it’s not easy to get a freelance job unless you know the exact and appropriate strategies. There are millions of people around the world who seek freelance jobs every day. But do all of them get their desired job? However, no big deal, I am going to tell you how to get a freelance job by the means of odesk.



1. Getting An Overall Idea:

People around the world are getting smarter day by day by the means oftechnological advancement. However, before starting your freelance career, I personally believe that you have to have a crystal and clear idea about a freelance site. However, visit the website and get an overall idea. Go to you tube and see the animated video. Here are the links:
Website: www.odesk.com
You Tube: http://www.youtube.com/results?search_query=odesk

2. Sign Up:

I hope you have got a clear idea about odesk. However, now it’s time to sign up. Go to the website and sign up by filling some pieces of information. Sadly, most of the new freelancers don’t seem interested in uploading aphotograph. But, I personally think, a photograph is an important thing for your freelance career. Visibility is very important to a buyer. Make sure that you fill everything with valid and correct information.
3. Complete Your Profile:
It’s very disappointing that, most of the new providers don’t complete their profile on odesk. However, in order to get your first freelance job, you have to complete your profile with legitimate information. Make sure that you fill all categories correctly including portfolio projects, employment history, education, certifications etc. Your profile will look good and you will have better chance of getting your first freelance jobs upon completing your profile.
Ø Be careful in choosing/writing your objectives. Your objective should focus on your skills.
Ø Be careful in choosing your hourly rate. It’s recommended that in the primary stage it shouldn’t be more than $ 12/ hour. You may increase/ decrease the rate later.

4. Take Some Tests:

Taking some tests make your profile attractive that simply helps you get your first freelance job. However, on odesk you will find hundreds of tests. For instance if you are a PHP developer, you may take php tests, if you are article writer; you should take some writing skill test. However, I recommend that every new provider who is looking for a freelance job should take Basic English language proficiency tests. Such as, US English basic skills test, UK English test etc. In order to get a freelance job, it’s important that you have minimum English language proficiency.

5. Make a Good Cover Letter:

Well, it’s time to make a good cover letter. A cover letter is one of the key elements of getting your first freelance job. However, so what is a cover letter? A cover letter is kind of letter that primarily includes your skills, qualifications, work experience etc. This is the first thing that your buyer will notice prior to hiring you. For each and every job, you have to apply with a cover letter. However, I added some cover letter in my blog. See here “Free Ebooks Section.”
Finally, I can say that it may take a few days for you to get your first freelance job by the means of odesk. However, you would be surprised that, it took me almost a month to get a job. The situation was like that I lost the hope of getting a job. Nevertheless, the reason was that, my profile wasn’t complete and my job cover letter wasn’t appealing. So, be patient and consistent. Your desired job is waiting for you.

বুধবার, আগস্ট ২৪, ২০১১

ফ্রিল্যান্সারের গল্প



Sep19

গ্রাফিক রিভার

সংগৃহীত
কয়েক মাস পূর্বে আপনাদেরকে পাঁচটি মার্কেটপ্লেস নিয়ে গঠিত এনভাটো (Envato) নামক একটি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। সেই লেখাতে ThemeForest.net নামক একটি মার্কেটপ্লেস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। যারা ওই লেখাটি পড়েননি তাদের জন্য বলছি, থিম ফরেস্ট মার্কেটপ্লেসে একজন ডিজাইনার ওয়েবসাইটের টেম্পলেট বা পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন বিক্রি করে আয় করতে পারেন। যারা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ দক্ষ তাদের জন্য থিম ফরেস্ট হতে পারে একটি চমৎকার আয়ের ক্ষেত্র। কিন্তু ডিজাইনিং এ নতুনরা থিম ফরেস্ট সাইটে খুব একটি সুবিধা করতে পারবেন না। এই সাইটে অনেক বিচার বিবেচনা করে একটি ডিজাইনকে সাইটে প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়। তবে নতুনদের হতাশ হবার কিছু নেই, তাদের জন্য এনভাটোর রয়েছে আরেকটি চমৎকার মার্কেটপ্লেস - গ্রাফিক রিভার (www.GraphicRiver.net)। এই গ্রাফিক রিভারের আদ্যোপান্ত নিয়ে এবারের প্রতিবেদন।

গ্রাফিক রিভার সাইটটি দেখতে হুবহু থিম ফরেস্ট সাইটের মত। প্রকৃতপক্ষে এনভাটোর সকল মার্কেটপ্লেসের বাহ্যিক দিক এবং আভ্যন্তরীণ নিয়ম-কানুন প্রায় একই রকম। পাঁচটি মার্কেটপ্লেসের যে কোন একটিতে রেজিষ্ট্রেশন করে সবগুলো সাইটের মেম্বার হওয়া যায়।গ্রাফিক রিভার মার্কেটপ্লেসটিকে নতুনদের জন্য উপযোগী বলছি তার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। এখানে আপনাকে সাইটের সম্পূর্ণ টেম্পলেট ডিজাইন করতে হবে না, বরং একটি সাইটের বিভিন্ন গ্রাফিক্স আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। গ্রাফিক্স বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে - ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড, ব্যানার, বাটন, আইকন, রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন ফরম, বিজনেস কার্ড, নিউজলেটার ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন।

একটি ডিজাইন তৈরি করে সাইটে জমা দেবার পর সাইটের কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটি প্রথমে যাচাই বাছাই করে দেখে নেয় কাজটি মানসম্মত কিনা। ডিজাইনটি সাইটের নির্দেশমত তৈরি করা হলে, কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে ডিজাইনটির একটি দাম নির্ধারণ করে দেয়। ডিজাইনের ধরণ ও কাজের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে দাম সর্বনিম্ন ১ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এরপর ডিজাইন বিক্রির ৪০% থেকে ৭০% অর্থ ডিজাইনারকে দেয়া হয়। নতুনদেরকে ৪০% অর্থ দেয়া হয় যা বিক্রি বাড়ার সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে ৭০% এ উত্তীর্ণ হয়। প্রথম অবস্থায় দাম শুনতে কম মনে হলেও আসলে একটি ডিজাইন একাধিক ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রির সুযোগ রয়েছে। তাই ১ ডলার মূল্যের একটি সামান্য ব্যানার যদি ৪০ থেকে ৫০ বার বিক্রি হয় তাহলে পরিশেষে মোট দাম নেহায়েত কম হয় না। এই ধরনের ছোটখাট কাজ করতে একজন নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের এক দিনের বেশি লাগার কথা নয়।
সাইটের নেভিগেশন বা ব্যবহার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ, সরল এবং পরিকল্পিতভাবে সাজানো। সাইটের বামদিকের কলামের শুরুতেই রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ যাতে ক্লিক করে ওই বিভাগের সকল ডিজাইন দেখা ও কেনা যায়। এখানে মূল বিভাগগুলো হচ্ছে - Graphics, Design Templates, Texture, Vectors, Add-ons, Isolated Objects এবং Icons । Graphics বিভাগে রয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড, বাটন, ফরম, ব্যানার এবং একটি ওয়েবসাইটকে সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ। Design Templates বিভাগে রয়েছে বিজনেস কার্ড, একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহণকারী স্টেশনারী উপকরণের টেম্পলেট, ফ্লাইয়ার, রেজ্যুমে, ব্রুশিয়র, নিউজলেটার ইত্যাদি। Texture বিভাগে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের বস্তু যেমন কাঠ, কাগজ, পাথর, প্রকৃতি, কনক্রিট, মেটাল, তরলবস্তু, ফেব্রিক ইত্যাদির ছবি। এই ছবিগুলো সাধারণত একটি ডিজাইন তৈরি করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেইজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। Vector বিভাগে পাওয়া যায় কার্টুন ক্যারেক্টার ও বিভিন্ন বস্তুর ভেক্টর ছবি যা সাধারণত এডোব ইল্যাস্ট্রেটর দিয়ে তৈরি করা হয়। Add-ons বিভাগে রয়েছে ফটোশপ এবং ইল্যাস্ট্রেটরের বিভিন্ন এ্যাকশন, ব্রাশ, স্টাইল, শেপ, টেক্সচার এবং পেটার্নের কালেকশন। Isolated Objects বিভাগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য বস্তুর গ্রাফিক্স পাওয়া যায়। সর্বশেষ Icon বিভাগে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নজরকাড়া আইকনের সমাহার যা কম্পিউটারের ডেস্কটপ সাজাতে বা একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে আকর্ষণীয় করতে ব্যবহৃত হয়। মোট কথা, গ্রাফিক রিভার সাইটের এই অসংখ্য বিভাগের মধ্য থেকে নিজের ইচ্ছেমত যেকোন ধরনের ডিজাইন তৈরি করে বিক্রি করা যায়।

ওয়েবসাইটের বামদিকের কলামে বিভাগের পর আরও যেসকল উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে সেগুলো হল - Author Program, Referral Program, Asset Library, Forums এবং Blog । ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে Author Program অংশে সাইটের নিয়ম কানুন ভালভাবে জেনে নিতে হবে। তারপর একটি ছোটখাট কুইজে অংশগ্রহণ করে তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। কুইজের উত্তরগুলো "হ্যাঁ" এবং "না" এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নিয়মকানুন ভালভাবে পড়ে নিলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া সম্ভব। ডিজাইনার না হয়েও এই সাইট থেকে আয় করা সম্ভব, আর তা হচ্ছে Referral Program এর মাধ্যমে। এনভাটো মার্কেটপ্লেসের পাঁচটি সাইটের যে কোন একটিতে একজন নতুন ক্রেতাকে নিয়ে আসলে, ওই ক্রেতা সর্বপ্রথম যে পরিমাণ অর্থ সাইটে ডিপোজিট বা জমা করবে তার ৩০% আপনি পাবেন। কোন ডিজাইন কেনার পূর্বে এই সাইটে সর্বনিম্ন ২০ ডলার ডিপোজিট করতে হয়। অর্থাৎ একজন নতুন ক্রেতার মাধ্যমে আপনি সর্বনিম্ন ৬ ডলার থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

একটি ডিজাইন তৈরি করার সময় ডিজাইনে যদি কোন ধরনের ছবি সংযোগের প্রয়োজন হয় তাহলে Asset Library থেকে তা বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সাইটে কপিরাইটের নিয়মকানুন খুব কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়। তাই অন্য যে কোন সাইট থেকে ছবি সংগ্রহ করে তা ডিজাইনের সাথে সরাসরি সংযোগ করতে পারবেন না। এর জন্য হয় ছবিটি কিনতে হবে অথবা ছবির মালিকের যথাযথ অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করতে হবে। তবে সবচেয়ে ঝামেলাবিহীণ হচ্ছে সাইটির এ্যাসেট লাইব্রেরী থেকে ছবি সংগ্রহ করা।

সাইটের নিয়মকানুন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য Forums অংশে নিয়মিত ভিজিট করুন। আর এনভাটোর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ব্লগে পাবেন গ্রাফিক রিভার সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিভিন্ন প্রতিযোগীতার খবর এবং প্রতিমাসে একটি গ্রাফিক্স বিনামূল্যে ডাউনলোডের সুযোগ। গ্রাফিক রিভার সাইটে এই মূহুর্তে আইকন তৈরির একটি প্রতিযোগীতা চলছে যাতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০০ ডলার করে পুরষ্কার দেয়া হবে।

ওয়েবসাইটে লগইন করার পর উপরের অংশে কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিংক পাওয়া যায়, এগুলো হচ্ছে - Account, Bookmarks, Earning, Upload এবং Deposit । Account অংশটি আরো কয়েকটিভাগে বিভক্ত - Profile, Portfolio, Downloads, Earning, Statements এবং Edit । আপনার Profile এবং Portfolio অংশটি যেকোন মেম্বার দেখতে পারবে। Profile অংশে আপনি আপনার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবেন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার ডিজাইনের পদ্ধতি সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে পারে। আপনি যে সকল ডিজাইন তৈরি করবেন তা Portfolio অংশে প্রদর্শন করা হবে। আপনি যদি অন্য কারো ডিজাইন কিনে থাকেন তাহলে Download অংশ থেকে তা ডাউনলোড করতে পারবেন। Earning অংশে কোন মাসে কত আয় করলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দেখতে পাবেন এবং এই অংশ থেকে আয়কৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। Statement অংশে সাইট থেকে আপনার আয়/ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ পাবেন।
ডিজাইন তৈরি করার নিয়ম:
গ্রাফিক রিভারের জন্য ডিজাইন তৈরি করার সময় অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটি গ্রহণ করবে না। ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরে কাজ করার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হল -
  • ডিজাইনের প্রত্যেকটি উপাদানকে আলাদা আলাদা লেয়ারে তৈরি করুন।
  • দুই বা ততোধিক লেয়ারকে মার্জ বা এক লেয়ারে পরিণত করবেন না।
  • লেয়ারগুলোকে সুবিন্নস্ত রাখার জন্য গ্রুপ ব্যবহার করুন। ধরা যাক আপনি কয়েক ধরনের বাটনের একটি সেট তৈরি করছেন। এক্ষেত্রে একই ধরনের বাটনকে একই গ্রুপে রাখতে পারেন।
  • লেয়ারে বিভিন্ন ইফেক্ট ব্যবহার করলে তা কখনও রেস্টারাইজ করবেন না।
  • লেয়ার এবং গ্রুপের অর্থবহ নামকরণ করুন।
  • সকলের কম্পিউটারে থাকে এমন ফন্ট ব্যবহার করুন। যেমন - Arial, Tahoma, Times New Roman, Verdana ইত্যাদি। আর যদি অন্য কোন নতুন ফন্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে ওই ফন্টটি কোন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। বিনামূল্যে ফন্ট সংগ্রহের জন্য www.dafont.com সাইটে ভিজিট করতে পারেন। বিনামূল্যে পাওয়া যায় ফন্টের ক্ষেত্রেও তার উৎস উল্লেখ করতে হবে।
  • কোন কারণে আপনার ডিজাইনটি যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার কারণ ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে জানাবে। এক্ষেত্রে সেই ভুলগুলো সংশোধন করে আবার ডিজাইনটি জমা দিতে পারবেন।
  • কোন ডিজাইন যদি সাইটের অন্য আরেকজনের ডিজাইনের সাথে মিলে যায় তাহলেও কর্তৃপক্ষ আপনার ডিজাইনটি গ্রহণ করবে না। তাই যে কোন ডিজাইন তৈরি করার সময় তাতে বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন।

ডিজাইন জমা দেবার নিয়ম:
ডিজাইন তৈরি করার পর তা জমা দিতে সাইটের উপরের অংশ থেকে Upload নামক লিংকে ক্লিক করুন। ডিজাইন জমা দেবার পূর্বে কুইজে অবশ্যই উত্ত্বীর্ণ হতে হবে। এরপর Upload অংশে প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য Instructions, New BETA Upload এবং Old Style Upload নামক তিন ধরনের বাটন দেখতে পাবেন। প্রথমে Instruction অংশটি ভালভাবে পড়ে নিন এবং New BETA Upload বাটনে ক্লিক করে আপলোড শুরু করুন। এই অংশে আপলোড করতে সমস্যা হলে Old Style Upload বাটনে ক্লিক করুন। Upload করার নিয়মগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ -
  • প্রথমেই ডিজাইনটির একটি ভাল নাম এবং তার বর্ণনা লিখুন। ডিজাইনটিতে কোন ছবি বা ফন্ট ব্যবহার করলে তা যে ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে তার পূর্ণাঙ্গ লিংক এখানে দিন।
  • এবার ফাইল আপলোডের পালা। সর্বমোট ৪ ধরনের ফাইল আপলোড করতে হবে। এগুলো হল -
    1. Image Preview: ডিজাইনটির ৫৯০ পিক্সেল প্রস্থের একটি JPG ছবি এই অংশে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোন উচ্চতা হতে পারে।
    2. Thumbnail: ডিজাইনটির ৮০ x ৮০ পিক্সেলের একটি ছোট JPG ছবি দিতে হবে।
    3. High Res JPG: ডিজাইনটির মূল মাপের একটি উঁচু রেজুলেশনের JPG ছবি দিতে হবে। Vector এর ক্ষেত্রে প্রস্থ সর্বনিম্ন ১২০০ পিক্সেল হতে হবে।
    4. Main File(s): এরপর ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরের সকল ফাইলকে ZIP করে দিতে হবে। কোন ক্রেতা ডিজাইনটি কেনার পর এই ফাইলটিকেই ডাউনলোড করবে।
  • Category: ডিজাইটনটি সুনির্দিষ্ট কোন বিভাগে অন্তর্ভূক্ত তা উল্লেখ করুন।
  • Image Resolution: ডিজাইনটিকে কত রেজুলেশনে তৈরি করেছেন তা উল্লেখ করুন।
  • Layered?: ডিজাইনে বিভিন্ন লেয়ার থাকলে Yes সিলেক্ট করুন।
  • Minimum Application Version: ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরের কোন ভার্সন ব্যবহার করেছেন তা উল্লেখ করুন। গ্রহণযোগ্য ভার্সনগুলো হচ্ছে - CS, CS2, CS3 ও CS4 ।
  • Tag অংশে ডিজাইনটির যথাযথ ট্যাগ বা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন যা সার্চ করার সময় কাজে লাগবে।
  • Comments for the Reviewer: এই অংশটি হচ্ছে সাইটের কর্তৃপক্ষকে মেসেজ দেবার জন্য। আপনার তৈরিকৃত ডিজাইন সম্পর্কে কোন কিছু বলার থাকলে তা এই অংশের মাধ্যমে তাদেরকে জানাতে পারবেন।


সবশেষে আপলোড বাটনে ক্লিক করে কাজটি জমা দিন। জমা দেবার পর আপনার ডিজাইনটি কর্তৃপক্ষের লিস্টে কততম স্থানে রয়েছে তা দেখতে পাবেন। আপলোড করার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ডিজাইনটি যাচাই বাছাই করা হবে। ডিজাইনটি গ্রহণ বা বাতিল হলে তা আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

আয়ের অর্থ উত্তোলনের জন্য এই সাইটে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে - Paypal, Moneybookers এবং International Money Transfer (SWIFT) । নূন্যতম আয় ৫০ ডলার হলেই Paypal ও Moneybookers দিয়ে উত্তোলন করতে পারবেন। তৃতীয় পদ্ধতির ক্ষেত্রে নূন্যতম আয় হতে হবে ৫০০ ডলার।

গ্রাফিক রিভার তথা এনভাটো মার্কেটপ্লেসে নিয়মকানুন কড়াকড়িভাবে মেনে চলার কারণে এই সাইটগুলোতে সবসময় উন্নতমানের ডিজাইন পাওয়া যায়। আর হয়ত একারনেই ক্রেতা এবং বিক্রেতা মিলে মার্কেটপ্লেসে দুই লক্ষের উপর ব্যবহারকারী রয়েছে। একটি ভাল ডিজাইন তৈরি করতে পারলে তার ফলাফল আপনি সাথে সাথেই পাবেন। মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক ডিজাইনার রয়েছেন যাদের ডিজাইন জমা দেবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রি একশ ছাড়িয়ে যায়। আর ডিজাইন শেখার অন্যতম উপায় হচ্ছে অন্যের ডিজাইন পর্যবেক্ষন করা। অন্য আরেকজনের ডিজাইন যদি দেখে দেখে হুবহু তৈরি করতে পারেন তাহলে ধরে নিবেন দক্ষ ডিজাইনার হতে খুব বেশি দিন বাকি নেই। এভাবে চর্চা করতে থাকলে ডিজাইনের নতুন নতুন আইডিয়া স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে যাবেন।
লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী

বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "সেপ্টেম্বর ২০০৯" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

Sep07
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে এনিমেশন, ওয়েবসাইট, ব্যানার, দ্বিমাত্রিক গেমস ইত্যাদি তৈরির জন্য ফ্লাশ (Flash) অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার। আমাদের দেশেও প্রচুর প্রফেশনাল ফ্লাশ ডেভেলপার রয়েছেন। আউটসোর্সিং এর জগতে ফ্লাশের রয়েছে বেশ ভাল কদর। ফ্লাশ দিয়ে তৈরি করা একটি ওয়েবসাইটের দাম সাধারণ ওয়েবসাইট থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে। ফ্লাশ দিয়ে একদিকে যেরকম নজরকাড়া ডিজাইন তৈরি করা যায়, অন্যদিকে এর একশনস্ক্রিপ্ট দিয়ে শক্তিশালী ও উন্নতমানের সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব। ফ্লাশ দিয়ে তৈরি করা গেমগুলো যেকোন বয়সের মানুষই পছন্দ করে। ফ্লাশ দিয়ে গেমস তৈরিতে পারদর্শী হলে এটি হতে পারে ঘরে বসে আয়ের অন্যতম মাধ্যম। এই সুযোগটি করে দিচ্ছে মোচিমিডিয়া (www.MochiMedia.com) নামক একটি চমৎকার ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি প্রকৃতপক্ষে একটি বিজ্ঞাপনের নেটওয়ার্ক, যাদের রয়েছে ১৪ হাজারের উপর ফ্লাশ গেমসের বিশাল সংগ্রহ। যা ৩০ হাজার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১০ কোটি গেমারের কাছে ডেভেলপারের তৈরিকৃত গেমকে বিনামূল্যে পৌছে দেয়। তার বিনিময়ে গেমে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়, যা থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ গেম ডেভেলপারকে দেয়া হয়।

তাহলে দেখে নেয়া যাক মোচিমিডিয়া ওয়েবসাইটটি কিভাবে কাজ করে। ওয়েবসাইটে তিন ধরনের ব্যবহাকারী রয়েছে - গেম ডেভেলপার, গেম প্রকাশক এবং বিজ্ঞাপনদাতা। প্রথমে গেম ডেভেলপার একটি গেম তৈরি করে ওয়েবসাইটে জমা দেয়। গেম প্রকাশকরা গেমটিকে মোচিমিডিয়া থেকে ডাউনলোড করে তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেই সকল ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারী গেমাররা যখন গেমটি খেলে তখন গেমের মধ্যে একটি বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়। প্রত্যেকবার বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবার জন্য বিজ্ঞাপনদাতা মোচিমিডিয়াকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে। মোচিমিডিয়া গেম ডেভেলপারকে সেই অর্থের ৫০% প্রদান করে। এভাবে যে কেউ প্রত্যেকবার গেম খেলার সাথে সাথে গেম ডেভেলপার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয় করতে থাকে। এই আয়ের পরিমাণটি কত সেই তথ্য নির্দিষ্ট করে সাইটে দেয়া নেই। এটি নির্ভর করে গেমে যে বিজ্ঞাপনটি প্রদর্শিত হচ্ছে তার উপর। অন্যান্য ডেভেলপারদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, গড়ে প্রতি ১ হাজার বার গেম খেলা হলে গেম ডেভেলপার ১ ডলার আয় করে। সেই হিসেবে মোচিমিডার ৩০ হাজার পাবলিশারের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার পাবলিশারের ওয়েবসাইটে যদি ১ বার করেও প্রতিদিন আপনার গেম খেলা হয় তাহলে একটি গেম থেকেই প্রতিদিন ১০ ডলার করে আয় করা সম্ভব। গেম পাবলিশারদের মধ্যে অনেকগুলো বিখ্যাত ওয়েবসাইট। যাদের মধ্য উল্লেখযোগ্য হচ্ছে Hi5, MindJolt, GamePro এবং AOL এর মত বিখ্যাত সাইটগুলো। এইসব সাইটে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ ব্যবহারকারী ভিজিট করে। সেই হিসেবে একটি উন্নতমানের গেম তৈরি করতে পারলে ধারণার চেয়েও বেশি পরিমাণে আয় করা সম্ভব।


মোচিমিডিয়ায় গেম ডেভেলপারদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস রয়েছে, যা গেম তৈরি করার সময় গেমে এপিআই বা একধরনের কোড যুক্ত করে পাওয়া যায়। এপিআইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে -
১. Ads API:
কেবলমাত্র একটি লাইনের বিজ্ঞাপনের এপিআই কোড যোগ করে যে কোন গেমকে আয়ের উৎসে পরিণত করা যায়। বিজ্ঞাপনকে একটি গেমের যে কোন তিনটি স্থানে যোগ করতে পারবেন - গেম শুরু হবার পূর্বে, গেমের দুটি লেভেলে মধ্যে অথবা খেলা চলাকালীন সময়ে একটি লিংক যুক্ত করে। বিজ্ঞাপনকে নিজের ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করা যায়, অর্থাৎ বিজ্ঞাপনটি কখন দেখাবে আর কখন দেখাবে না তাও ঠিক করে দেয়া যায়। বিজ্ঞাপণগুলো Cost per thousand impression (CPM), Cost per Click (CPC) এবং Cost per Acquisition (CPA) পদ্ধতিতে প্রদর্শন করা হয়। CPC বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে ডেভেলপারকে অর্থ প্রদান করা হয়। তবে বেশিরভাগ সময় CPM পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপনগুলো দেখানো হয়, অর্থাৎ প্রতিবার বিজ্ঞাপন দেখানোর সাথে সাথে গেম ডেভেলপার আয় করতে থাকে।

২. Analytics API:
মোচি এনালাইটিক এপিআই হচ্ছে একটি ফ্রি সার্ভিস যা দিয়ে একজন ফ্লাশ ডেভেলপার তার তৈরিকৃত গেমসকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে গেমটি কতবার খেলা হয়েছে, কোন কোন সাইটে খেলা হচ্ছে ইত্যাদি তথ্য সহজেই জানা যায়। এই সার্ভিসটি ফ্লাশ গেমস ছাড়াও যে কোন ধরনের ফ্লাশ কন্টেন্ট বা ফাইলকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য মোচিমিডিয়া সাইট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। যে কোন ফ্লাশ ফাইলের সাথে একটি একশনস্ক্রিপ্ট কোড যুক্ত করে ফাইলকে পর্যবেক্ষণের উপযোগী করতে পারবেন।

৩. Coins API:
মোচি কয়েন এপিআই ব্যবহার করে ফ্লাশ গেম ডেভেলপারা একটি গেম থেকে অতিরিক্ত আরো অর্থ আয় করতে পারে। এই পদ্ধতিতে একটি গেমের মধ্যে বিভিন্ন লেভেল আনলক করা, গেমের মধ্যে বিভিন্ন অতিরিক্ত সরঞ্জাম, অস্ত্র, চিটকোড ইত্যাদি বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এগুলো বিক্রির জন্য মোচিমিডিয়া বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পদ্ধতি প্রদান করে থাকে। প্রতিটি আইটেম বিক্রির ৬০% অর্থ গেম ডেভেলপারকে দেয়া হয়।

৪. Scores API:
মোচি স্কোর এপিআই এর মাধ্যমে একটি গেমে সর্বোচ্চ স্কোর করা খেলোয়াড়দেরকে প্রদর্শন করা যায়। ফলে অধিক স্কোর করার নেশায় গেমাররা পুনরায় আপনার গেম খেলবে। গেমের মধ্যে স্কোরবোর্ড যোগ করাও অত্যন্ত সহজ, মাত্র কয়েক লাইনের কোড যোগ করলেই পাওয়া যায়। স্কোরবোর্ডকে গেমের ডিজাইনের সাথে মিল রেখে ইচ্ছেমত পরিরর্তন করা যায়। স্কোরবোর্ডকে ফেইসবুকের সাথে যুক্ত করা যায়, ফলে গেমাররা ফেইসবুকে তাদের বন্ধুদেরকে গেম খেলায় আমন্ত্রণ জানাতে পারে।

৫. Live Updates:
মোচি লাইভ আপডেট সার্ভিসের মাধ্যমে গেমের সর্বশেষ ভার্সনকে মূহুর্তের মধ্যেই সকল সাইটে ছড়িয়ে দেয়া যায়। ধরা যাক, আপনার গেমটি ২০ হাজার সাইটে খেলা হচ্ছে। সেই মূহুর্তে গেমে একটি বাগ বা ভুল ধরা পড়ল। ভুলটি ঠিক করে মোচিমিডিয়া সাইটে জমা দিলে লাইভ আপডেট সার্ভিসের মাধ্যমে তা সকল সাইটে আপডেট হয়ে যাবে। একই পদ্ধতিতে গেমের ভার্সনকে আপডেট ও নতুন ফিচার যুক্ত করা যাবে।

মোচিমিডিয়াতে জমা দেয়া গেমে কেবলমাত্র মোচি কর্তৃক প্রদত্ত বিজ্ঞাপন নয়, ইচ্ছে করল আপনি নিজে স্পন্সর জোগাড় করে অতিরিক্ত আরো অর্থ আয় করতে পারেন। স্পন্সর পাওয়া যায় এরকম একটি ভাল ওয়েবসাইট হচ্ছে www.FlashGameLicense.com । মোচিমিডিয়াতে একটি শক্তিশালী কমিউনিটি রয়েছে যাতে যেকোন ধরনের বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে একবার রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে আপনি একই সাথে একজন ডেভেলপার, পাবলিশার এবং একজন বিজ্ঞাপনদাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন। পাবলিশার সার্ভিসের মাধ্যমে মোচিমিডিয়া ওয়েবসাইটের গেমগুলোকে নিয়ে আপনি একটি স্বতন্ত্র গেমিং সাইট তৈরি করতে পারবেন। আপনার সাইট থেকে গেম খেলা হলে বিজ্ঞাপনদাতা কর্তৃক প্রদত্ত অর্থের ১০% আপনাকে দেয়া হবে। গেম তৈরি করে অথবা নিজের ওয়েবসাইটে গেম পাবলিশ করে মোট আয় ৩০ ডলার বা তার চেয়ে অধিক হলে মানিবুকারস, চেক বা পেপালের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।

আমাদের দেশে অনেকে মোচিমিডিয়ার জন্য গেম তৈরি করে আয় করছেন। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে "মুক্ত সফটওয়্যার" www.MuktoSoft.com । আবার অনেকে পাবলিশার হিসেবে মোচিমিডিয়ার গেমগুলোকে নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। আমাদের দেশী ওয়েবসাইট নির্মাতাদের তৈরি এরকম একটি সাইট হচ্ছে www.StreetGamers.net । স্ট্রীট গেমারস ওয়েবসাইটটি এখনও ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনই এই ওয়েবসাইট থেকে মোচিমিডিয়া প্রদত্ত গেমগুলো বিনামূল্যে খেলা যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে RSS Feed এর মাধ্যমে মোচিমিডিয়ার গেমগুলোকে স্ট্রীট গেমারস সাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিদিন যুক্ত করা হয়। আর এই কাজের জন্য PHP স্ক্রিপ্ট মোচিমিডিয়া ওয়েবসাইট থেকেই সংগ্রহ করা যায়।

লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী

বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "আগস্ট ২০০৯" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

May12
ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য যে সকল মার্কেটপ্লেস রয়েছে তাদের মধ্যে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি সাইট হচ্ছেwww.99designs.com। এই সাইটটি শুধুমাত্র ডিজাইনারদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। যে সকল বিষয়ের উপর এই সাইটে কাজ পাওয়া যায় তা হচ্ছে - ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বাটন ও আইকন ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি। অন্যান্য সাইট থেকে এই সাইটের পার্থক্য হচ্ছে এখানে প্রত্যেকটি ডিজাইন সম্পন্ন করার জন্য ক্রেতা বা ক্লায়েন্ট একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ক্লায়েন্টের নির্দেশ অনুযায়ী ডিজাইনাররা ডিজাইন তৈরি করে। সবশেষে ক্লায়েন্ট একটি ডিজাইনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে এবং পুরষ্কার হিসেবে ডিজাইনারকে পূর্ব নির্ধারিত অর্থ প্রদান করে।

এই ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি কাজকে কনটেস্ট (contest) বা প্রতিযোগিতা বলা হয়। ক্লায়েন্টকে এই সাইটে কনটেস্ট হোল্ডার বা আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী ফ্রিল্যান্সারদেরকে ডিজাইনার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই সাইটে ৩০ হাজারের উপর ডিজাইনার রেজিষ্ট্রেশন করেছে এবং এই মূহুর্তে তিনশতটির উপর প্রতিযোগিতা রয়েছে যেগুলোর সর্বমোট মূল্য হচ্ছে ১ লক্ষ ডলারেরও বেশী। প্রতিযোগিতার পুরষ্কার হিসেবে প্রধানত অর্থ প্রদান করা হয়, তবে আয়োজক ইচ্ছে করলে সাথে অন্য কোন সামগ্রী দিতে পারে।

যেভাবে সাইটটি কাজ করে

১) ডিজাইনের নির্দেশনা তৈরি:
প্রথম ধাপে প্রতিযোগিতার আয়োজক তার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইনের একটি নির্দেশনা তৈরি করে যাকে বলা হয় ডিজাইন ব্রিফ (Design Brief)। ডিজাইনাররা এই ব্রিফের উপর ভিত্তি করে তাদের ডিজাইন তৈরি করে থাকে। প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করার জন্য এসময় ক্লায়েন্টকে ৩৯ ডলার অর্থ সাইটকে প্রদান করতে হয়। তবে এই সাইট থেকে ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে কোন ফি নেয়া হয় না।

২) বাজেট নির্ধারণ:
দ্বিতীয় ধাপে আয়োজক পুরষ্কারের পরিমাণ নির্ধারণ করে। পুরষ্কারের মূল্য সর্বনিম্ন ১০০ ডলার থেকে শুরু করে এক থেকে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এটি সম্পূর্ণ আয়োজকের বাজেটের উপর নির্ভর করে।

৩) প্রতিযোগিতা শুরু:
প্রত্যেকটি প্রতিযোগিতা সর্বনিম্ন ১ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৭ দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ডিজাইনাররা প্রজেক্টের ব্রিফের উপর নির্ভর করে ডিজাইন তৈরি করে এবং তৈরিকৃত ডিজাইনের একটি ছবি ওয়েবসাইটে জমা করে। এই ছবিগুলো যে কেউ দেখতে পারে। এতে একজনের ডিজাইন দেখে তার থেকে ভাল আরেকটি ডিজাইন তৈরি করার মানসিকতা ডিজাইনারদের মধ্য কাজ করে। যা পরিশেষে আয়োজকের জন্য সুফল বয়ে আনে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে আয়োজক জমা দেয়া প্রত্যেকটি ডিজাইনকে একটি রেটিং এবং একটি মন্তব্য প্রদান করে। কোন ডিজাইন ভাল না হলে তা ঠিক করার পরামর্শও আয়োজক দিয়ে থাকে। প্রত্যেক ডিজাইনার একের অধিক ডিজাইন জমা দিতে পারে।

৪) বিজয়ী নির্ধারণ:

রেটিং এবং মন্তব্য প্রদানের মাধ্যমে আয়োজক ডিজাইনারদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তার কাঙ্খিত ডিজাইন তৈরি করিয়ে নেয়। প্রতিযোগিতা শেষ হবার পর আয়োজক একজনকে বিজয়ী হিসেবে নির্ধারণ করে এবং তার পুরষ্কার প্রদান করে। সবশেষে ডিজাইনার তার তৈরিকৃত মূল ডিজাইনের ফাইল আয়োজককে দিয়ে দেয়।

প্রতিযোগিতার প্রকারভেদ:

99designs.com সাইটে পুরষ্কার প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় -
১) প্রিপেইড প্রতিযোগিতা:এটি হচ্ছে সাইটটির স্ট্যান্ডার্ড একটি প্রতিযোগিতা যাতে আয়োজক পুরষ্কারের মূল্য প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বেই99designs.com সাইটে জমা রাখে। প্রতিযোগিতা শেষে সাইটটি বিজয়ী ডিজাইনারকে অর্থ প্রদান করে থাকে। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় আয়োজক কোন ডিজাইন পছন্দ না হলে প্রতিযোগিতা বাতিল করে অর্থ ফেরত নিতে যেতে পারে। প্রিপেইড প্রতিযোগিতার সময় হচ্ছে ৭ দিন। প্রতিযোগিতা শেষে আরো ৭ দিনের মধ্যে আয়োজক একজন ডিজাইনারকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করতে পারে অথবা কোন ডিজাইন পছন্দ না হলে প্রতিযোগিতা বাতিল করতে পারে।

২) গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতা: 
গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতা ডিজাইনারদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ একটি পদ্ধতি যা বেশিরভাগ ডিজাইনারকে আকৃষ্ট করে। ফলে আয়োজক সর্বোৎকৃষ্টমানের ডিজাইন পেতে পারে। পুরষ্কার প্রদানের পদ্ধতি প্রিপেইড প্রতিযোগিতার মতই, তবে এই পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা শেষে আয়োজক নিশ্চিতভাবে একজন ডিজাইনারকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে এবং তার পুরষ্কারের মূল্য প্রদান করে। গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতায় আয়োজক প্রতিযোগিতা বাতিল বা সাইটে জমা দেয়া অর্থ ফেরত নিতে পারে না।

৩) পে-অন-উইন প্রতিযোগিতা:
এটি সাইটের প্রথম দিককার প্রতিযোগিতার পদ্ধতি ছিল, যা এখন আর নেই। এই পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতার আয়োজক সাইটে পুরষ্কারের অর্থ জমা না রেখে সরাসরি বিজয়ী ডিজাইনারকে প্রদান করত। অন্যদিকে বর্তমানে এই কাজটি 99designs.com সাইটটি বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে করে থাকে।

৪) ফাস্ট ট্র্যাক প্রতিযোগিতা:
এই ধরনের প্রতিযোগিতা একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আয়োজন করা হয়, সাধারনত ১ থেকে ৩ দিন। সাধারণত এই ধরনের প্রতিযোগিতার পুরষ্কারের মূল্য অন্যান্য ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে বেশি হয়ে থাকে।

৫) প্রাইভেট প্রতিযোগিতা:প্রাইভেট প্রতিযোগিতাগুলো প্রিপেইড প্রতিযোগিতার মতই, তবে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটে লগইন করার পর দেখা যায়। এই ধরনের প্রতিযোগিতাকে সাইটের সার্চে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না এবং এগুলো সার্চ ইঞ্জিন থেকে লুকানো থাকে।

পুরষ্কারের অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি:

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ডিজাইনার তার তৈরিকৃত ডিজাইনারের মূল ফাইল সাইটে আপলোড করে দেয়। আয়োজক কাজটি গ্রহণ করার সাথে সাথে পুরষ্কারের সম্পূর্ণ অর্থ ডিজাইনারের একাউন্টে জমা হয়ে যায়। মোট আয় ৫০ ডলারের অধিক হলেই ওয়েবসাইটটি থেকে ৪টি পদ্ধতির যে কোন একটি ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলন করা যায়। পদ্ধতিগুলো হচ্ছে - পেপাল, অল্টারপে, মানিবুকারস এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারা শেষের দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবে।


সৃজনশীল এবং দক্ষ ডিজাইনারদের জন্য 99designs.com সাইটটি ইন্টারনেট থেকে আয় করার একটি চমৎকার মার্কেটপ্লেস। এই সাইটে যেহেতু একজনের ডিজাইন অন্য আরেকজন দেখতে পারে ফলে নতুন ডিজাইনারা এই পদ্ধতিতে ডিজাইনের নতুন নতুন আইডিয়া শিখতে পারবে। একটি ডিজাইন জমা দেয়ার সাথে সাথেই যেহেতু ক্লায়েন্টের মতামত ও রেটিং পাওয়া যায়, তাতে ডিজাইনার জানতে পারে তার ডিজাইন কতটকু গ্রহণযোগ্য এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে। এই সাইটের অন্য আরেকটি ভাল দিক হচ্ছে এখানে অন্যান্য সাইট থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি মূল্যের কাজ পাওয়া যায়। উদাহরণসরূপ এই সাইটে একটি ছোট্ট লোগো ডিজাইন করার জন্য প্রায়ই ৫০০ ডলারের গ্যারান্টেড পুরষ্কার প্রদান করা হয়, যা সত্যি অভাবনীয়।

Feb25
স্ক্রিপ্টল্যান্স (www.scriptlance.com), প্রোগ্রামারদের মধ্যে বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। প্রতিদিন প্রায় ২০০ টির অধিক নতুন প্রজেক্ট এই সাইটে আসে। সাইটে ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করা যায় এবং আলাদাভাবে মাসিক কোন ফি দিতে হয় না। তবে সার্টিফাইড প্রোগ্রামারদেরকে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এই সাইটে সক্রিয় প্রোগ্রামারের সংখ্যা হচ্ছে মাত্র ৩,৪১৭ জন। তবে এই সাইটে প্রোগ্রামারদের মধ্য প্রতিযোগীতা অন্যান্য সাইট থেকে বেশি। ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধার জন্য রয়েছে একটি অনলাইন ফোরাম। রয়েছে এস্ক্রো (Escrow) একাউন্টের মাধ্যমে কাজ শেষে অর্থ পাওয়ার নিশ্চয়তা। সাইটটি ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং প্রজেক্টে বিড (Bid) করার পদ্ধতি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতই। প্রজেক্টে সাধারণত একজন প্রোগ্রামারের বিড আরেকজন প্রোগ্রামার দেখতে পারে। তবে বায়ার (Buyer) ইচ্ছে করলে তা গোপন রাখার ব্যবস্থা করতে পারে। সাইটের কমিশন খুবই কম, একটি প্রজেক্টের মোট মূল্যের ৫% (তবে সর্বনিম্ন কমিশন ৫ ডলার)।


স্ক্রিপ্টল্যান্স ওয়েবসাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রজেক্টগুলো কয়েকটি আলাদা আলাদা ভাগে সাজানো থাকে। সর্বপ্রথম অংশে রয়েছে প্রজেক্টের বিভাগ, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে - PHP, Java, Javascript, C/C++, ASP.NET, Perl/CGI, Joomla, MySQL, Website Design, Graphics Design, Flash, CSS, Ajax, SEO, Data Entry, Writing, Marketing, Multimedia ইত্যাদি।

দ্বিতীয় অংশে রয়েছে ফিচার্ড (Featured) প্রজেক্টের লিস্ট। ফিচার্ড প্রজেক্টগুলো একটি সাধারণ প্রজেক্ট থেকে বেশি দিন সাইটে বিড করার জন্য উন্মুক্ত থাকে। এই ধরনের প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে একজন প্রোগ্রামারকে সাধারণ প্রজেক্টের তুলনায় অর্ধেক কমিশন সাইটকে প্রদান করতে হয়। একটি প্রজেক্টকে ফিচার্ড লিস্টে স্থান দিতে বায়ারকে ১৯ ডলার সাইটকে ফি হিসেবে প্রদান করতে হয়, যা দ্বারা এই ধরনের প্রজেক্টগুলো ক্লায়েন্টের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই অনুধাবণ করা যায়। পাশাপাশি ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য ইমেইল, ইন্সট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার, ফোন নাম্বার ইত্যাদি প্রদান করা যায়, যা একটি সাধারণ প্রজেক্টে ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

তৃতীয় অংশে রয়েছে জরুরী বা আর্জেন্ট প্রজেক্টের লিস্ট। আর্জেন্ট প্রজেক্টের পরবর্তী অংশে রয়েছে বড় বাজেটের প্রজেক্টের লিস্ট। সাধারণত পাঁচশত ডলার থেকে শুরু করে দশ হাজার ডলারের অধিক মূল্যের প্রজেক্টগুলো এই অংশে পাওয়া যায়।

হোম পেইজের নিচের দিকে জব লিস্টিং (Job Listing) নামক ফিচারটি এই সাইটের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এই অংশে চাকুরীদাতারা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিভিন্ন চাকুরীর বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকে। চাকুরীগুলো হতে পারে একটি নির্দিষ্ট প্রজেক্টের জন্য অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। বায়ার ইচ্ছে করলে স্ক্রিপ্টল্যান্স সাইটের মাধ্যমে কাজ দিতে পারে অথবা সরাসরি ফ্রিল্যান্সারের সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনলাইনে চাকুরী প্রদান করতে পারে।

অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটে মত এই সাইটেও বিভিন্ন সুবিধাযুক্ত একটি আলাদা মেম্বারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে, যা সার্টিফাইড (Certified) মেম্বার নামে পরিচিত। তবে অন্য সাইট থেকে এই ফিচারটির পার্থক্য হচ্ছে, যে কেউ সার্টিফাইড মেম্বার হতে পারবে না। সার্টিফাইড মেম্বার হতে হলে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়। এরপর স্ক্রিপ্টল্যান্স কর্তৃপক্ষ আবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত স্বীদ্ধান্ত নেয়। একজন সার্টিফাইড মেম্বার হতে যে সকল গুণাবলীর প্রয়োজন হবে সেগুলো হল - নূন্যতম ৫ জন বায়ার কর্তৃক ১০ টি বা তার অধিক কাজের মন্তব্য। সাথে থাকতে হবে ভাল একটি রেটিং - ১০ এর মধ্যে ৯ বা তার অধিক। সার্টিফাইড মেম্বার হবার পর রেটিং যদি ৮ এর নিচে ৩০ দিনের অধিক অবস্থান করে তাহলে সেই ফ্রিল্যান্সার সার্টিফাইড মেম্বারশিপের যোগ্যতা হারাবে। সার্টিফাইড মেম্বার হতে আবেদন যাচাই এর জন্য ১০ ডলার এবং প্রতি মাসে ২৫ ডলার ফি প্রদান করতে হয়। এই অর্থগুলো ফ্রিল্যান্সারের স্ক্রিপ্টল্যান্সের একাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হয়।

এবার দেখে নেয়া যাক একজন সার্টিফাইড মেম্বার সাইটটি থেকে কি কি সুবিধা পেয়ে থাকে। প্রথমত সার্টিফাইড মেম্বারদের নামের পাশে সবসময় একটি বিশেষ লোগো সংযুক্ত থাকে, যা বিড করার সময় অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারের মধ্য থেকে তাকে আলাদাভাবে প্রদর্শন করে। সার্টিফাইড মেম্বারদেরকে যাচাই বাছাই করে মেম্বারশিপ দেয়া হয় যা বেশিরভাগ বায়ারের কাজে ওই ফ্রিল্যান্সারের গুরুত্ব বহণ করে। একটি প্রজেক্টে সার্টিফাইড মেম্বারের বিড বোল্ড অক্ষরে থাকে যা সহজেই বায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সর্বোপরি সার্টিফাইড মেম্বারকে প্রতিটি প্রজেক্টে ৫০% কম ফি সাইটকে প্রদান করতে হয়।

স্ক্রিপ্টল্যান্স থেকে অর্থ উত্তোলনের খরচ অন্যান্য সাইট থেকে অনেক কম। এই সাইট থেকে ৭ টি ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায়। এগুলো হচ্ছে - সাধারণ চিঠির মাধ্যমে চেক (৩ ডলার ফি), ফেডএক্স এর মাধ্যমে চেক (৩৮ ডলার ফি), পেপাল, ই-গোল্ড, মানিবুকারস, পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড এবং ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার (২৫ ডলার ফি)। আমাদের দেশের জন্য পেওনার ডেবিট কার্ড এবং ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার সবচেয়ে ভাল দুটি পদ্ধতি। স্ক্রিপ্টল্যান্সের একাউন্ট থেকে প্রতিবারে সর্বনিম্ন ৩০ ডলার উত্তোলন করা যায়।

স্ক্রিপ্টল্যান্স সাইটের অসুবিধার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রজেক্ট শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রজেক্টের কমিশন কেটে রাখা হয়, যা নতুন ব্যবহারকারীর একাউন্টে কোন টাকা না থাকলে নেগেটিভ ব্যালেন্স দেখায়। নেগেটিভ ব্যালেন্স ৩০ দিনের অতিরিক্ত হলে প্রোগ্রামারের একাউন্টটি সাময়িক বন্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় অন্য কোন প্রজেক্টে বিড করা যাবে না। তবে এতে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই, কারণ প্রজেক্ট শেষে বায়ার মূল্য পরিশোধ করার সাথে সাথে একাউন্টটি আবার সচল হয়ে যাবে।

মাসিক 'কম্পিউটার জগৎ' ম্যাগাজিন এ গত ছয় মাস ধরে আমি বিভিন্ন জনপ্রিয় এবং সফল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইটকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশার কথা হচ্ছে, অনলাইন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এ সবার সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেকে এরই মধ্যে সফলভাবে যাত্রা শুরু করতে পেরেছেন। তবে যারা এখনও কোন কাজে পারদর্শী হতে পারেননি তাদের মধ্যে একধরনের হতাশা কাজ করছে। এই সকল নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কথা মাথায় রেখে পরবর্তী সংখ্যগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করতে হবে তা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে। সেই লক্ষ্যে আগামী সংখ্যায় থাকবে ওয়েবসাইট ডিজাইনের নানা দিক নিয়ে একটি প্রতিবেদন।

Jan15

ইল্যান্স

সংগৃহীত
এই পর্বে ইল্যান্স নামক একটি চমৎকার এবং সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। বেশ কিছু স্বতন্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের জন্য আশা করি সাইটটি আপনাদের ভাল লাগবে এবং কাজে আসবে।

ইল্যান্স (www.elance.com) ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে প্রথমেই যে বিষয়টি আপনাকে আকৃষ্ট করবে তা হল এর সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন ইন্টারফেস। তারপর যে বিষয়টি আপনার নজরে আসবে তা হল ওয়েবসাইটির বিভিন্ন বেশিষ্ট্যের বিস্তৃত পরিধি। ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জনপ্রিয় এই সাইটে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৫ হাজার এক্সপার্ট রেজিষ্ট্রেশন করেছে। ২০০৫ সালে যাত্রার পর থেকে ফ্রিল্যান্সাররা এ পর্যন্ত এই সাইট থেকে ১৪ কোটি ডলারের অধিক আয় করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতি মাসে এই সাইটে ১৮ হাজারের উপর নতুন কাজ পাওয়া যায়। অন্যান্য সাইটের মত এই সাইটেও কাজের সুবিন্নস্ত বিভাগ, এস্ক্রো একাউন্ট, পেওনার ডেবিট মাস্টার কার্ড পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইট থেকে এই সাইটকে আলাদা করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, "ইল্যান্স ইউনিভার্সিটি" নামক একটি হেল্প সেন্টার যা নতুন এবং অভিজ্ঞ সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সরদেরকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে সাহায্য করে থাকে। আছে ভিডিও টিউটরিয়ালের মাধ্যমে কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় তার বিস্তারিত বর্ণনা।

ইল্যান্স সাইটে বাংলাদেশী প্রোভইডারের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫৫ বাংলাদেশী প্রোভাইডার ইল্যান্সে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।  তার মধ্যে প্রথম দশজন প্রোভাইডার গত ৬ মাসে এই সাইট থেকে ৫,০০০ ডলারের উপর আয় করেছেন। সর্বপ্রথম স্থানে রয়েছে inspire-inc নামক একটি প্রতিষ্ঠান যাদের এই সাইট থেকে গত ৬ মাসে আয়ের পরিমাণ হচ্ছে ৫৮,০০০ ডলারের উপর। এটি একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশনের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ইল্যান্স থেকে ১,১৬,০০০ ডলারের উপর আয় করেছে যা সত্যি আশার সঞ্চার করে। নিচের লিংকটি থেকে inspire-inc সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন -


ইল্যান্সে একজন ক্লায়েন্টকে বলা হয় এমপ্লয়ার (Employer) এবং একজন ফ্রিল্যান্সারকে বলা হয় সার্ভিস প্রোভাইডার (Provider)। কোন একটি প্রজেক্টে আবেদন বা বিড করাকে এই সাইটে প্রপোজাল (Proposal) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওয়েবসাইটের চমৎকার একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে Ajax এর ব্যবহার, ফলে সাইটি ব্রাউজ করতে অনেক কম সময় ব্যয় হয়। ওয়েবসাইটের উপরের অংশে ৫টি লিংক রয়েছে যার মধ্যে Find Professionals হচ্ছে এমপ্লয়ারদের জন্য, Find Work হচ্ছে প্রোভাডারদের জন্য। Skills Center লিংক থেকে ওয়েবসাইটে এ পর্যন্ত কতজন রেজিষ্ট্রেশন করেছে, কি পরিমাণে কাজ রয়েছে ইত্যাদি তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। MyElance লিংক থেকে রেজিষ্ট্রেশন করার পর আপনার প্রজেক্ট এবং প্রোফাইল ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন। সর্বশেষ লিংক Water Coler হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সাহায্যকারী আর্টিকেল, ব্লগ, ফোরাম এবং ইল্যান্স ইউনিভার্সিটি এর সমন্নয়ে গঠিত।

অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মত ইল্যান্স সাইটেও একটি এস্ক্রো (Escrow) একাউন্ট রয়েছে যা এমপ্লয়ার এবং প্রোভাইডারকে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। এই পদ্ধতিতে এমপ্লয়ারের অর্থ প্রজেক্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাইটটিতে জমা থাকে। প্রোভাইডার কর্তৃক সম্পন্ন কাজ এমপ্লয়ার গ্রহণ করলে এস্ক্রো থেকে অর্থ প্রোভাইডারের ইল্যান্স একাউন্টে এসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়ে যায়। তবে সব প্রজেক্টে এস্ক্রো সুবিধা নাও থাকে পারে। যে সকল প্রজেক্টে এই সুবিধাটি আছে তা একটি বিশেষ চিহ্ন (E) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

(চিত্র - ১)

কাজের প্রকারভেদ

এই সাইটে সকল প্রজেক্টকে আটটি মূল ভাগে এবং অসংখ্য উপভাগে ভাগ করা হয়েছে। ফলে এই সাইট থেকে একটি নির্দিষ্ট ধরনের কাজ খুজে পাওয়া খুবই সহজ। প্রজেক্টের মূল ভাগগুলো হচ্ছে -
  • ওয়েব এবং প্রোগ্রামিং
  • ডিজাইন এবং মাল্টিমিডিয়া
  • লেখালেখি এবং অনুবাদ
  • এডমিনিস্ট্রেশন সাপোর্ট
  • সেলস এবং মার্কেটিং
  • ফাইনান্স এবং ম্যানেজমেন্ট
  • লিগ্যাল
  • ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানুফেকচারিং

এই সাইটে প্রজেক্ট সার্চ করার পদ্ধতিও চমৎকার। সার্চের ফলাফলকে প্রজেক্টের ধরন (নির্দিষ্ট মূল্য বা ঘন্টা হিসেবে অর্থ), আবেদন করার সর্বশেষ সময়, ক্লায়েন্টের বাজেট, এস্ক্রো সুবিধা আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে খুব সহজেই ফিল্টার করতে পারবেন।

প্রোভাইডার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন:

এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশনের পদ্ধতিটি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইট থেকে কিছুটা ভিন্ন। পাঠকদের সুবিধার জন্য তা ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হল -
  • প্রোভাইডার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করতে সাইটের উপরের দিকে "Sign in or Register" নামক লিংকটিতে ক্লিক করুন। একটি নতুন উইন্ডো আসবে যা থেকে একই সাথে লগইন অথবা রেজিষ্ট্রেশন করা যায়। নতুন ইউজার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করতে "I do not have an Elance account" অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং আপনার ইমেইল ঠিকানা দিয়ে "Continue" বাটনে ক্লিক করুন। (চিত্র - ২)
  • পরবর্তী উইন্ডো থেকে "I want to find work on Elance" অপশটি সিলেক্ট করে "Continue" বাটনে ক্লিক করুন।
  • এই ধাপে Individual এবং Business এই দুই ধরনের মেম্বারশিপ প্লানের মধ্যে যে কোন একটি সিলেক্ট করতে হবে (চিত্র - ৩)। আপনি যদি স্বতন্ত্রভাবে এই সাইটে কাজ করতে চান তাহলে Individual প্লানটি সিলেক্ট করুন। আর কাজ করানোর জন্য আপনার যদি একটি টিম থাকে তাহলে Business প্লানটি সিলেক্ট করুন। তবে যে প্লানটিই সিলেক্ট করুন না কেন প্রাথমিকভাবে প্রতিটি প্লানের Basic (Free) অপশনটি সিলেক্ট করুন, যাতে মাসিক কোন সার্ভিস চার্জ নেই। রেজিষ্ট্রেশনের পর যে কোন সময় ইচ্ছে করলে অপশনটি পরিবর্তন করতে পারবেন। মেম্বারশিপ প্লান দুটি নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
  • পরবর্তী ধাপে আপনার নাম, পাসওয়ার্ড, ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার সঠিকভাবে প্রদান করুন।
  • সর্বশেষ ধাপে আপনার নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করুন।

(চিত্র - ২)


(চিত্র - ৩)


সফলভাবে রেজিষ্ট্রেশন করার পর আপনার প্রোফাইলের বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন করার জন্য একটি পৃষ্ঠায় নিয়ে যাওয়া হবে।  এই অবস্থায় আপনার প্রোফাইলকে সক্রিয় করতে আর দুটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। ধাপ দুটির মধ্য একটি হচ্ছে আপনার ফোন নাম্বার সচল কিনা তা পরীক্ষা করা এবং পরবর্তীটি হচ্ছে সাইটটিতে একটি টেস্ট দেয়া। ধাপগুলো সম্পন্ন করতে Verify your phone number এবং Pass Elance Admission Test নামক দুটি লিংক দেখতে পাবেন। মনে রাখবেন এই ধাপদুটি সম্পন্ন না করলে কোন প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন না। ধাপগুলো সম্পন্ন করতে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন -

১) ফোন নাম্বার যাচাই করা:

ফোন নাম্বার যাচাই করতে প্রদত্ত লিংক এ ক্লিক করলে Phone Verification নামক একটি উইন্ডো আসবে। এই উইন্ডো থেকে Verify বাটনে ক্লিক করলে একটি Confirmation Code দেখতে পাবেন (চিত্র - ৪)। এসময় আপনার ফোন নাম্বারে একটি কল আসবে। স্বাগত বক্তব্যের পর আপনাকে # চাপতে বলা হলে আপনার ফোনের # বাটনটি ডায়াল করুন এবং স্ক্রিনে প্রদত্ত কনফার্মেশন কোডটি উচ্চারণ করুন। ফোন কলটি শেষ হবার পর ওয়েবসাইট থেকে Close বাটনে ক্লিক করলে আপনার ফোন নাম্বারটি সঠিকভাবে যাচাই হয়েছে কিনা তা দেখতে পাবেন।
(চিত্র - ৪)

২) ইল্যান্স এডমিশন টেস্ট:

প্রোভাইডার হিসেবে এই সাইটে কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই "ইল্যান্স এডমিশন টেস্ট" এ পাশ করতে হবে। এই টেস্ট নিশ্চিত করে আপনি সাইটের সকল নিয়মকানুন সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন কিনা। টেস্টটি শেষে আপনি জানতে পারবেন ইল্যান্সে কিভাবে একজন সফল সার্ভিস প্রোভাইডার হওয়া যায়। টেস্টটি ২৫ টি নৈর্ব্যত্ত্বিক প্রশ্নের সমন্নয়ে গঠিত। যে সকল বিষয়ের উপর টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হচ্ছে - ইল্যান্স ইউনিভার্সিটি ভিডিও টিউটরিয়াল, ইল্যান্স টার্মস অব সার্ভিস, প্রোভাইডার গাইড এবং হেল্প।

সফলভাবে টেস্ট এ উত্তীর্ণ হতে নিচের নির্দেশনাগুলো গুরুত্বসহকারে লক্ষ করুন -
  • টেস্ট শুরু করার পূর্বে উপরোক্ত ৪টি বিষয় সাইটটি থেকে ভাল করে দেখে নিন।
  • প্রতিটি প্রশ্নে ২ থেকে ৫ টি সম্ভাব্য উত্তর থাকবে।
  • ভুল উত্তরের জন্য কোন নম্বর কাটা যাবে না, তাই চেষ্টা করবেন সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে।
  • পাশ করতে আপনাকে অন্তত ২০টি প্রশ্নের (৮০%) সঠিক সমাধান দিতে হবে।
  • প্রতিবারে একটি প্রশ্ন দেখানো হবে। পরবর্তী প্রশ্নে যেতে "Next" বাটনে ক্লিক করতে হবে। বাটনে ক্লিক করার পূর্বে প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন।
  • একবার উত্তর দেবার পর পুনরায় সেই প্রশ্নে ফেরত যেতে পারবেন না এবং প্রশ্নটির উত্তর পরিবর্তন করতে পারবেন না।
  • টেস্ট চলাকালিন সময় মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করে কোন শর্টকাট মেন্যু খুলতে পারবেন না এবং কিবোর্ড দিয়ে পরবর্তী বা পূর্ববর্তী পৃষ্ঠায় যেতে পারবেন না।
  • টেস্টটি সর্বোচ্চ ৩ বার দিতে পারবেন এবং পুনরায় টেস্ট দিতে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।
  • "Start Test" নামক বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার টেস্টটি শুরু হয়ে যাবে এবং পুনরায় কখন টেস্টটি আবার দিতে পারবেন সেই সময়টি নির্ধারিত হয়ে যাবে।


বিভিন্ন ধরনের মেম্বারশিপ প্লান:

Individual এবং Business এই দুটি প্লানের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধার উপর ভিত্তি করে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। ফ্রিল্যান্সার প্রোভাইডার হিসেবে এই সাইট থেকে আপনি কি পরিমাণে সুবিধা নিতে চান সে অনুযায়ী একটি প্লান বেছে নিতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার পর যে কোন সময় এই সুবিধাগুলো আপনি আপগ্রেড করতে পারেন। উভয় প্লানকে পরবর্তীতে আরো কয়েকটি উপভাগে ভাগ করা হয়েছে। Individual এর ক্ষেত্রে এই ভাগগুলো হচ্ছে - Basic (Free) এবং Individual. আর Business এর ক্ষেত্রে ভাগগুলো হল - Basic (Free), Small Business, Large Business. নিচে বিভিন্ন প্লানের বৈশিষ্ট্য এবং পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হল -


Individual
Business

Basic (Free)
Individual
Basic (Free)
Small Business
Large Business
স্কিল টেস্ট দেয়া
নেই
২টি টেস্ট
নেই
৪টি টেস্ট
৮টি টেস্ট
প্রতিমাসে সর্বোচ্চ বিড করার সংখ্যা (Connects)
৩টি
২০টি
৩টি
৪০টি
৬০টি
ইন্টারভিউ দেয়ার মাধ্যম
ইমেইল
ইন্ট্যান্ট ম্যাসেজ,ফোনইমেইল
ইমেইল
ইন্ট্যান্ট ম্যাসেজ,ফোনইমেইল
ইন্ট্যান্ট ম্যাসেজ,ফোনইমেইল
টিম তৈরি ও ব্যবস্থাপনা
নেই
নেই
নেই
সর্বোচ্চ ৫ জন
যে কোন সংখ্যক
বিনামূল্যে ওয়্যার ট্রান্সফার পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন
১০ ডলার ফি
প্রতিমাসে একবার
১০ ডলার ফি
প্রতিমাসে একবার
প্রতিমাসে একবার
মাসিক সার্ভিস চার্জ
ফ্রি
.৯৫ ডলার
ফ্রি
১৯.৯৫ ডলার
৩৯.৯৫ ডলার
প্রজেক্ট প্রতি কমিশন
%
% - %
%
% - %
% - %



ইল্যান্সের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:

  • প্রজেক্টের সর্বনিম্ন প্রপোজাল মূল্য: একটি প্রজেক্টে একজন প্রোভাইডার সর্বনিম্ন কত মূল্যে করার জন্য প্রস্তাব (Proposal) বা বিড করতে পারবে তা নির্ভর করে ওই প্রজেক্টের বাজেটের উপর। ৫০০ ডলারের কম মূল্যের প্রজেক্টে সর্বনিম্ন ৫০ ডলার প্রস্তাব করা যায়। ৫০০ থেকে ১০০০ ডলারের প্রজেক্টে সর্বনিম্ন প্রস্তাব মূল্য হচ্ছে ৩০০ ডলার। আর ১০০০ ডলারের অধিক বাজেটের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ হচ্ছে ৭০০ ডলার।
  • প্রিবিড (Prebid): একটি প্রজেক্টে প্রপোজাল জমা দেবার পূর্বে ওই প্রজেক্টে ক্লায়েন্টের চাহিদা সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে প্রিবিড এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করা যায়। প্রিবিডের ক্ষেত্রে কোন মূল্য বা আপনার মন্তব্য করতে পারবেন না। প্রোভাইডার হিসেবে আপনি যখন প্রিবিড জমা দিবেন তখন ক্লায়েন্টের কাছে একটি প্রাইভেট ম্যাসেজ চলে যাবে এবং সে তার প্রজেক্ট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবে।
  • কানেক্ট (Connect): একজন প্রোভাইডার প্রতি মাসে সর্বোচ্চ কতটি বিড করতে পারবে সেই সংখ্যাকে এই ওয়েবসাইটে কানেক্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই সংখ্যাটির পরিমাণ মেম্বারশিপ প্লানের উপর নির্ভর করে। Basic (Free) মেম্বাররা প্রতি মাসে ৩ টি করে কানেক্ট পাবেন যা দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি প্রজেক্টে বিড করতে পারেন। অন্যদিকে একজন Individual মেম্বার প্রতি মাসে ২০টি কানেক্ট পায়। ৫০০ ডলারের নিচের প্রজেক্টে বিড করতে ১টি কানেক্ট, ৫০০ থেকে ১০০০ ডলারের প্রজেক্টে ২টি কানেক্ট এবং ১০০০ ডলারের প্রজেক্ট বিড করতে ৪টি কানেক্টের প্রয়োজন হয়। Individual মেম্বার ইচ্ছে করলে অর্থের বিনিময়ে আরো অতিরিক্ত কানেক্ট অর্জন করতে পারেন। এজন্য প্রতি ১০টি কানেক্টের জন্য ৫ ডলার সাইটকে প্রদান করতে হয়।


নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ ইল্যান্স ওয়েবসাইটে প্রতিটি বিষয়ের উপর রয়েছে বিস্তারিত বর্ণনা যা একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারকে সহজে আকৃষ্ট করবে। বাস্তবিক পক্ষে এই সাইটটিতে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের সকল ভাল ভাল ফিচারের সমাহার দেখতে পাবেন। তবে ফ্রি মেম্বারদের জন্য মাসে মাত্র ৩টি কানেক্ট প্রথম প্রথম কাজ পেতে কিছুটা অসুবিধার সৃষ্টি করবে। তাই কয়েকটি কাজ করার পর অন্য আরেকটি মেম্বারশিপ প্লানে পরিবর্তন করে নেয়াটাই শ্রেয়।

২০০৮ সালে ইল্যান্স সাইট থেকে যে হারে প্রোভাইডাররা আয় করেছে এবং যে পরিমাণে নতুন কাজ এসেছে তার চিত্র
(চিত্র - ৫)


সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা এবং বেকার সমস্যা যখন বাড়ছে ঠিক সেই সময়ে ইল্যান্স ওয়েবসাইটে কাজ প্রাপ্তির হার আউটসোর্সিং বাজার বৃদ্ধির প্রবণতাকেই নির্দেশ করে (চিত্র - ৫)। নতুন বছরের প্রারম্ভে নতুন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা আউটসোর্সিং কাজগুলো আরো সহজভাবে করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রদান করবে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি এবং বিদেশ থেকে অর্থ উত্তোলন পদ্ধতি সহজ করার লক্ষে Paypal সার্ভিসকে যদি অনুমোদন করে তাহলে আমাদের দেশের তরুণরা নিজেরাই বেকার সমস্যার সমাধান করে নিবে।

Dec23
মাসিক "সি নিউজ" ম্যাগাজিনের চলতি সংখ্যা "ডিসেম্বর ২০০৮" এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছি। পাঠকদের সুবিধার জন্য তা এই সাইটে প্রকাশ করা হল। প্রতিবেদনটি কেমন হল তা জানিয়ে আপনার মন্তব্য প্রদান করলে অত্যন্ত খুশি হব।
- মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী 


একটা সময় ছিল যখন পড়ালেখা শেষ করে একজন তরুনকে একটি চাকুরীর জন্য বিভিন্ন কোম্পানীর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হত। কিন্তু চাকুরী যেন সোনার হরিণ এর মত অধরা থেকে যেত। যদিওবা চাকুরী পাওয়া গেল কিন্তু থাকত না অর্জিত শিক্ষার সাথে কোন সম্পর্ক। পাওয়া যেত না যোগ্যতার উপযুক্ত সম্মান। আর এখন তরুনরা একটা চাকুরীর জন্য বসে নেই, নিজেরাই খোঁজে নিয়েছে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চাকা। ...ভাবছেন স্বপ্ন দেখাচ্ছি, সত্যি করে বলতে কি ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর বদৌলতে ঠিক এরকম একটা ব্যাপার আমাদের দেশে ঘটতে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশে এরকম কয়েকশত অনলাইন ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করে থাকেন। এদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা পড়ালেখা শেষ করে কোন চাকুরীতে যোগ না দিয়ে সরাসরি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। অনেকে আবার অন্যদের জন্য কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করছেন। কিন্তু ব্যাপারটা বেশিরভাগের কাছে পরিষ্কার না হওয়ায় আউটসোর্সিং এর বিশাল বাজারে ভারত বা পাকিস্তানের মত আমরা সেইভাবে প্রবেশ করতে পারিনি। তাই ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর আদ্যোপান্ত নিয়ে আমাদের এই সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।


আউটসোর্সিং:
প্রথমেই দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং (Offshore Outsourcing) কি এবং কেন করা হয়। আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে পণ্যের শুধু ডিজাইন করা অথবা সম্পূর্ণ উৎপাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। অন্যদিকে অফশোর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে ভিন্ন দেশ থেকে করিয়ে আনা। প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো (যেমন - ডাটা প্রসেসিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, টেকনিকাল সাপোর্ট ইত্যাদি) অফশোর আউটসোর্সিং করা হয়। যেসকল দেশ এই ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেইন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপিনস, রাশিয়া, পাকিস্থান, পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়শিয়া, মিশর এবং আরো অনেক দেশ।

ফ্রিল্যান্সিং:
এবার দেখে নেয়া যাক, ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কি এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হওয়া যায়।  ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার স্বীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সাথেও সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার সাথে যদি থাকে একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তাহলে যেকোন জায়গাতে বসেই আপনি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করতে পারেন। হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি বা কেমবলমাত্র লেখালেখি করা।

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস:
ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিং এর সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এই সকল সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Freelancer, Provider, Seller অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে Coder. একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সাররা আবেদন করে, যাকে বলা হয় বিড (Bid) করা। বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময়ফ্রিল্যান্সারের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে এস্ক্রো (Escrow) নামক একটি একাউন্টে জমা করে দেয়, যা কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। কাজ শেষ হবার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ওই সাইটে জমা দিতে হয়। এরপর ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্লায়েন্ট তখন সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করে। সাথে সাথে এস্ক্রো থেকে অর্থ ওই সাইটে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে এসে জমা হয়। সম্পূর্ণ সার্ভিসের জন্য এসময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ (১০% বা ১৫%) ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। এরপর মাস শেষে সাইটটি ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে।

নিচে কয়েকটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, তাদের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার (www.GetAFreelancer.com)বৈশিষ্ট্য: 
  • এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোট প্রোভাইডার বা ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা হচ্ছে সাড়ে আট লক্ষের উপর।
  •  সাইটে প্রতিদিন দুইশত এর উপর নতুন প্রজেক্ট আসে এবং সবমিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে নয় হাজার প্রজেক্ট বিড করার জন্য উন্মুক্ত থাকে। 
  • সাইটটির সার্ভিস চার্জ হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট অর্থের ১০%। 
সুবিধাসমূহ:
  • গোল্ড মেম্বারদের জন্য কোন সার্ভিস চার্জ নেই। প্রতি মাসে মাত্র ১২ ডলার পরিশোধকরে গোল্ড মেম্বার হওয়া যায়।
  • নতুন ইউজারদের জন্য এই সাইটে ট্রায়াল প্রজেক্ট নামে একটি বিশেষ ধরনের কাজ পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র নতুন ফ্রিল্যান্সাররাই বিড করতে পারে। ফলে এই সাইটে প্রথম কাজ পেতে একজন ফ্রিল্যান্সারকে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয় না।
অসুবিধাসমূহ:
  • এখানে এস্ক্রোতে টাকা জমা রাখা বাধ্যতামূলক নয়, যা সম্পূর্ণভাবে বায়ারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।
  • এই সাইটে বিড করার ক্ষেত্রে একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একজন সাধারণ মেম্বার প্রতি মাসে ১৫ টি প্রজেক্টে বিড করতে পরে আর গোল্ড মেম্বারদের জন্য এই সংখ্যা হচ্ছে ১৬০টি।

স্ক্রিপ্টল্যান্স (www.ScriptLance.com)
বৈশিষ্ট্য:
  • এই সাইটে মাত্র তিন হাজার সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা অন্তত একটি কাজ সম্পন্ন করেছে।
  • প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি নতুন প্রজেক্ট আসে এবং এই মূহুর্তে মোট উন্মুক্ত প্রজেক্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৮০০ টি।
  • এখানে সার্ভিস চার্জ অন্যান্য সাইট থেকে তুলনামূলকভাবে কম, মোট অর্থের ৫%।
সুবিধাসমূহ:
  • সার্টিফাইড প্রোগ্রামারদের জন্য কোন সার্ভিস চার্জ হচ্ছে ২.৫%। প্রতি মাসে মাত্র ২৫ ডলার পরিশোধ করে সার্টিফাইড প্রোগ্রামার হওয়া যায়।
  • এই সাইটে ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ফোরাম রয়েছে।
অসুবিধাসমূহ:
  • গেট এ ফ্রিল্যান্সার সাইটের মত এখানেও এস্ক্রোতে টাকা জমা রাখা বাধ্যতামূলক নয়, যা বায়ারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।

রেন্ট-এ-কোডার (www.RentACoder.com)
বৈশিষ্ট্য:

  • এই সাইটের ফিচার গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার এবং স্ক্রিপ্টল্যান্স থেকে অনেকটা ভিন্ন। যদিও এই সাইটিতে নতুনদের প্রথম কাজ পাওয়া কিছুটা কষ্টসাধ্য কিন্তু এর কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের কাজে খুব জনপ্রিয়।
  • রেন্ট-এ-কোডার এ প্রায় দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে।
  • এই সাইটে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ বিড করার জন্য উন্মুক্ত হিসেবে পাওয়া যায়।
  • সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ হচ্ছে মোট অর্থের ১৫% এবং বোনাস প্রজেক্টের ক্ষেত্রে এই চার্জ হচ্ছে ১০%। উল্লেখ্য, বোনাস প্রজেক্ট হচ্ছে সেই সব প্রজেক্ট যাতে বায়ারকে এস্ক্রোতে কোন অর্থ জমা রাখতে হয় না এবং কাজ শেষে কোডারকে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করে।
সুবিধাসমূহ:
  • এস্ক্রোতে অর্থ জমা রাখা এই সাইটে বাধ্যতামূলক। কাজ শুরুর পূর্বে বায়ার প্রজেক্টের সম্পূর্ণ অর্থ এস্ক্রোতে জমা রাখে, যা কাজ শেষে কোডারের অর্থ প্রাপ্তি শতভাগ নিশ্চিত করে।
  • এই সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সার ইচ্ছেমত যে কোন প্রজেক্টে বিড করতে পারে।
  • এই সাইটের নিয়মকানুন অন্য সাইটগুলো থেকে কিছুটা কঠিন, যা পরিশেষে বায়ার এবং কোডারের জন্য একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ প্রদান করে।
অসুবিধাসমূহ:
  • সাইটটির সার্ভিস চার্জ অন্যান্য সাইট থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি।
  • অন্য সাইটের গোল্ড মেম্বার ফিচারের মত কোন সুবিধা এখানে নেই।
  • নতুনদের জন্য এই সাইটে আলাদা কোন সুবিধা নেই, ফলে প্রথম কাজ পাওয়াটা এই সাইটে তুলনামূলকভাবে সময়সাপেক্ষ।
ওডেস্ক (www.oDesk.com)
বৈশিষ্ট্য:

  • এক সাইটের ফিচার উপরে উল্লেখিত সাইটগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে প্রোভাইডারকে একটি প্রজেক্টে প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়।
  • ক্লায়েন্ট সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস এর জন্য) এক বা একাধিক প্রোভাইডারকে নিয়োগ দেয়। অনেকক্ষেত্রে প্রজেক্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন কাজ করতে হয়।
  • কাজ করার মূহুর্তে প্রোভাইডারের ব্যয়কৃত সময় নির্ধারণ করার জন্য প্রোভাইডারের কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার চালু রাখতে হয়, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর তার ডেস্কটপের স্ক্রিনশট এবং অন্যান্য তথ্য ক্লায়েন্টের কাছে পাঠায়। ফলে ওই সময় সে কাজ করছেন কিনা ক্লায়েন্ট সহজেই যাচাই করতে পারে।
  • এই সাইটে প্রতি কাজের জন্য ১০% অর্থ কমিশন হিসেবে প্রদান করতে হয়।
সুবিধাসমূহ:
  • যেহেতু প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য মূল্য পরিশোধ করা হয় তাই অন্য সাইটগুলোর তুলনায় এই সাইট থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আয় করা সম্ভব।
  • এখানে অনেক প্রজেক্ট পাওয়া যায় যাতে সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য মূল্য পরিশোধ করা হয়। ফলে যারা ঘন্টা ধরে কাজ করতে পছন্দ করে না তারাও এই সাইট থেকে কাজ করতে পারবে।
অসুবিধাসমূহ:
  • একটি প্রজেক্টে কাজ করতে প্রতিদিন ফ্রিল্যান্সারকে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় অনলাইনে লগইন থেকে কাজ করতে হয়। ব্যাপারটা অনেকটা অফিসে বসে একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করার মত, যা অনেক ফ্রিল্যান্সারের কাছে পছন্দ নয়।
  • কাজ করার সময় ওডেস্কের সফটওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রোভাইডারের কম্পিউটারের ডেস্কটপের ছবি বায়ারের কাছে পাঠায় যা একজন ফ্রিল্যান্সারের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করে।

অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ

অনলাইনে প্রায় সকল ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন তাহলে ডাটা এন্ট্রির মত কাজগুলো সহজেই করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রায় সকল ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অথবা কোন ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা - কি নেই সাইটগুলোতে। অনলাইনে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় তা জানতে নিচের তথ্যগুলো লক্ষ করুন। এখানে গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে এই মূহুর্তে (২০ নভেম্বর ২০০৮) যে ধরনের কাজ, যত সংখ্যায় পাওয়া যাচ্ছে তা উল্লেখ করা হল -

ProgrammingWebsite Development
PHP (913)
AJAX (297)
.NET (250)
Javascript (228)
C/C++ (194)
ASP (181)
XML (169)
Java (166)
Visual Basic (97)
Website Design (813)
Web Promotion (516)
SEO projects SEO (495)
Link Building (288)
Script Installation (162)
Joomla (151)
OsCommerce (146)
Website Security (72)
Graphics & MultimediaData Entry
Graphic Design (353)
Flash (322)
Photoshop (143)
Logo Design (134)
Video Services (75)
Banner Design (98)
Data Entry (410)
Data Processing (300)
Excel (45)
WritingMarketing & Management
Copywriting (435)
Proofreading (129)
Translation (106)
Legal Advice (13)
Market Research (229)
Telemarketing (191)
Project Management (102)
Accounting/Bookkeeping (29)

অন্যদিকে আরেকটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইট www.GetACoder.com পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এ পর্যন্ত যে সকল প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে তার মধ্যে প্রোগ্রামিং (৩৬.৯%) এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের (২৬.৮%) কাজগুলোই সবচেয়ে বেশি। তার পরবর্তী স্থানে রয়েছে গ্রাফিক্স/মাল্টিমিডিয়া (১২.৪%) এবং ডাটাবেইজের (১২.৩%) কাজগুলো। নিচের চার্টের মাধ্যমে নভেম্বর ২০০৮ তারিখে ওই সাইটে প্রাপ্ত কাজের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হল (বড় করে দেখতে ছবিটির উপর ক্লিক করুন) -


ফ্রিল্যান্সিং এ কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা ভালভাবে না জানার কারণে অনেকে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন না। নিচে এরকম কয়েকটি বিষয় আলোকপাত করা হল:

রেটিং (Rating) -
 একটি কাজ সম্পন্ন হবার পর ক্লায়েন্ট কাজের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রোভাইডারকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে রেটিং দেয়। এখানে সর্বোত্তকৃষ্ট রেটিং হচ্ছে ১০ এবং সর্বনিম্ন রেটিং হচ্ছে ১। নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে এই রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় ১০ রেটিং পাওয়ার জন্য প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্ট পরিপূর্ণভাবে এবং দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা উচিত।

রেংকিং (Ranking) - একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিষ্ট্রেশনকৃত সকল প্রোভাইডারের মধ্যে একজন নির্দিষ্ট প্রোভাইডারের অবস্থান কত তা জানা যায় রেংকিং এর মাধ্যমে। সাধারণত একজন প্রোভাইডারের গড় রেটিং এবং সে কত বেশি ডলারের কাজ করেছে তার উপর ভিত্তি করে রেংকিং নির্ধারণ করা হয়। রেটিং এর মত রেংকিংও নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার রেংকিং যত সামনের দিকে তার কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যদের চাইতে বেশি। 

ডেডলাইন (Deadline) - প্রত্যেক প্রজেক্ট শেষ করার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বা ডেডলাইন সময় থাকে। এই সময়ের পূর্বে অবশ্যই কাজ শেষ করতে হয়। কোন প্রোভাইডার যদি ডেডলাইনের পূর্বে কাজ শেষ করতে না পারে তাহলে বায়ার ইচ্ছে করলে তাকে কোন মূল্য পরিশোধ না করে সম্পন্ন কাজটি নিয়ে যেতে পারে। 
উপরন্তু ক্লায়েন্ট সেই প্রোভাইডারকে একটি নিম্নমানের রেটিং দিয়ে দিতে পারে।  তাই কোন প্রজেক্টের ডেডলাইন সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে কাজ শুরুর পূর্বেই বায়ারকে অনুরোধ করে বাড়িয়ে নেয়া উচিত। 

মেডিএশন/আর্বিট্রেশন (Mediation/Arbitration) - একটি প্রজেক্ট চলাকালীন সময় বায়ার এবং প্রোভাইডারের মধ্যে কোন সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্য মেডিএশন এর ব্যবস্থা রয়েছে। এই পদ্ধতিতে সাইটের যথাযথ কতৃপক্ষ উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে এবং সমাধানের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়।

এসক্রো (Escrow) - কাজ শুরু করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ অর্থ ওই ফ্রিল্যান্সিং সাইটে জমা রাখে। এই জমা রাখাকে বলা হয় এসক্রো যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারের টাকা পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। ক্লায়েন্ট টাকা এসক্রোতে জমা রাখা পূর্বে কাজ শুরু করা উচিত নয়। 



অর্থ উত্তোলনের উপায়সমূহ

কাজ সম্পন্ন হবার পর প্রোভাইডারের পাওনা অর্থ ফ্রিল্যান্সিং সাইটের একাউন্টে জমা থাকে। মাসের শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে সর্বমোট অর্থ বিভিন্ন উপায়ে দেশে নিয়ে আসা যায়। এখানে টাকা উত্তোলনের কয়েকটি কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:Snail Mail Check
এই পদ্ধতিতে খরচ তুলনামূলকভাবে কম কিন্তু এটি সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি। মোট আয় যদি ১০০ ডলারের এর উপর হয় তাহলে চিঠির মাধ্যমে একটি চেক পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রতিবার টাকা উত্তোলনে খরচ পড়ে মাত্র ১০ ডলার। তবে চিঠি আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। আর চেকটি আসবে ডলার-এ, তাই এটিকে টাকাতে রূপান্তর করতে হলে ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে।


Bank to Bank Wire Transfer
টাকা উত্তোলনের একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা সরাসরি প্রোভাইডারের ব্যাংক একাউন্টে 
এসে জমা হয়ে যায়। তবে এই পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি - প্রতিবার টাকা উত্তোলনে ৪৫ থেকে ৫৫ ডলার খরচ পড়বে। এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে নিম্নে উল্লেখিত তথ্যগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রদান করতে হবে:
  • প্রোভাইডারের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ব্যাংক এর ঠিকানা এবং ব্যাংকের SWIFT Code
  • ফ্রিল্যান্সিং সাইটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশের একটি ব্যাংকের নাম যা অর্থ প্রেরণের জন্য মধ্যবর্তী মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। এজন্য আপনি আপনার ব্যাংক এ গিয়ে জেনে নিতে পারেন তারা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংক এর মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদান করে থাকে।
  • এরপর মধ্যবর্তী ওই ব্যংক এর Routing নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে যা ব্যাংকটির ওয়েবসাইট এ পাওয়া যেতে পারে। ব্যাংক এর সাইটে না পাওয়া গেলে Google এ সার্চ করে দেখতে পারেন অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই নাম্বারকে বলা হয় ABA Routing Number ।

Payoneer Debit Card
উপরের দুটি পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer Debit Card । সম্প্রতি প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই MasterCard সার্ভিসটি চালু করেছে। 
এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন। এজন্য এককালীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর সাইটির মাসিক ব্যবস্থাপনা ফি ৩ ডলার। ATM থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনের জন্য খরচ পড়বে ২.১৫ ডলার + উত্তোলনকৃত অর্থের ৩%। এই কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটাও করতে পারবেন। এমনকি এর মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত আপনার কোন আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব তাদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড থেকে আপনাকে টাকা পাঠাতে পারবে। পেওনার সাইট থেকে সরাসরি এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যায় না। এটি পেতে হলে ফ্রিল্যান্সিং যে কোন একটি সাইট (রেন্ট-এ-কোডার, গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার বা ওডেস্ক) থেকে আবেদন করলে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই কার্ডটি হাতে পাওয়া যায়।
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আরো তথ্য:
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত আরো জানতে "ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্প" নামক একটি বাংলা ব্লগ সাইট ভিজিট করতে পারেন। এই সাইটে নিয়মিতভাবে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখা হয়। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের খবরও এই সাইটে পাওয়া যায়। সাইটির ঠিকানা হচ্ছে - www.FreelancerStory.blogspot.com

আরেকটি হচ্ছে "ফ্রিল্যান্স ফেস্ট" নামে একটি অনলাইন ফোরাম। ফোরামটি গঠন এবং পরিচালনা করছেন আমাদের দেশী কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এ আগ্রহী যে কেউ এই ফোরামে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যেকোন ধরনের সমস্যা ও তার সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ফোরামটির ঠিকানা হচ্ছে - www.FreelanceFest.com

পাশাপাশি আপনি ইচ্ছে করলে "বিডিওএসএন আউটসোর্সিং" নামক গুগল গ্রুপে যোগদান করতে পারেন। এই গ্রুপের মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সারদের সাথে সরাসরি ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারেন। গ্রুপটির ঠিকানা হচ্ছে -http://groups.google.com/group/bdosn_outsourcing

শেষকথা:
বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং হতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তির উপায়। দেশের দক্ষ ও বেকার জনগোষ্ঠিকে জনশক্তিতে পরিণত করতে এটি হতে পারে একটি প্রধান নিয়ামক। তবে খেয়াল রাখতে হবে, প্রাথমিক অবস্থায় অনলাইনে কাজ পাওয়াটা সহজ নয়। প্রয়োজন ধৈর্য ও পরিশ্রম করার মানসিকতা। কারণ এখানে আপনাকে বিভিন্ন দেশের দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে প্রতিযোগীতা করে কাজ আনতে হবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং যারা শুরু করতে চান তাদের হতে হবে আত্মবিশ্বাসী, প্রত্যয়ী ও সমসাময়িক তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত। সর্বোপরি নিজ কর্মক্ষেত্রে দক্ষ।
সংগ্রহে- আবু রায়হান। (ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্প অবলম্বনে)